ম্যাসেজ-মিজানুর রহমান আজহারি-Book Name : Message. writer : Mizanur Rahman Azhari
ম্যাসেজ
মিজানুর রহমান আজহারি (লেখক)
ক্যাটাগরিঃ ইসলাম, মোটিভেশনাল, আত্মোন্নয়ন
প্রকাশের সালঃ 2021
প্রচ্ছদ অলংকরণঃ সাইমুম আহমেদ হাসিব
বইয়ের মূলভাব
ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে যায়, ঘোর অমানিশাও তাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়। ইসলাম তো এমন এক জ্যোতিষ্ক, যা উৎসারিত হয়েছে আরশে আজিমের মহিমান্বিত রওশন থেকে। জাহেলিয়াত পরাজয় কবুল করেছিল ইসলামের বুকে আশ্রয় পেয়ে। এই পবিত্র দ্বীন আত্মাকে করেছে প্রশান্ত, চরিত্রকে করেছে নিষ্কলুষ, জীবনকে করেছে সার্থক, মানবতাকে দিয়েছে মুক্তি। এর আলোকচ্ছটা যে জমিনে পড়েছে, সেখানে অঙ্কুরিত হয়েছে শান্তির সবুজ তরু। এই রওশনের ঝলক যে হৃদয় ধারণ করেছে, সে হৃদয় হয়েছে দারাজ দিল। যে যুগ ধারণ করেছে, তা হয়েছে খইরুল কুরুন বা সর্বোত্তম যুগ।
কিন্তু হায়! অজ্ঞতা ও অবহেলার কালো মেঘে সেই সূর্য আজ মেঘ লুপ্ত। আলোহীন এ ধরায় উঠে না প্রাণের জোয়ার। তোলে না কেউ আর মানবতার জয়োধ্বনি। অধিকার হারিয়ে মুমূর্ষুপ্রায় মানবতা। নব্য জাহেলিয়াতের এই গাঢ়-কালো মেঘপুঞ্জ চুর্ণ করতে দরকার একটি নির্ভেজাল ঈমানি দমকা হাওয়া; যে হাওয়ায় জ্ঞানের সৌরভ মিশে মোহিত করবে প্রতিটি হৃদয়। সেই মোহনীয় দক্ষিণা হাওয়ার গুঞ্জন তুলতেই আমাদের আয়োজন-‘ম্যাসেজ’।
মিজানুর রহমান আজহারির ম্যাসেজ আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া বইয়ের সূচিপত্র:
- কুরআনের মা
- মুমিনের হাতিয়ার
- কুরআনিক শিষ্টাচার
- উমর দারাজ দিল।
- ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
- উসরি ইউসরা : কষ্টের সাথে স্বস্তি
- রেগে গেলেন তাে হেরে গেলেন
- শাশ্বত জীবনবিধান
- স্মার্ট প্যারেন্টিং
- মসজিদ : মুসলিম উম্মাহর নিউক্লিয়াস
- ঐশী বরকতের চাবি
- বিদায় বেলা
মিজানুর রহমান আজহারি
তরুণ চিন্তক এবং জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক। বিশ্ববিখ্যাত আল আজহার ইউনিভার্সিটির তাফসির অ্যান্ড কুরআনিক সাইন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া-এর ডিপার্টমেন্ট অব কুরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে সেখানেই পিএইচডি গবেষণা করছেন। স্বপ্ন দেখেন-ইনসাফ, আদল ও ইহসানের ভিত্তিতে এক উন্নত সমাজকাঠামোর। তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন বিশ্বাসের পরশে। বোধ ও সামর্থ্যরে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কুরআন ও সুন্নাহর কথামালা তুলে ধরার প্রয়াস নেন জনপদ থেকে জনপদে, কি-বোর্ডে কিংবা ক্যামেরার সামনে।মিজানুর রহমান আজহারি।
তরুণ চিন্তক এবং জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক। বিশ্ববিখ্যাত আল আজহার ইউনিভার্সিটির তাফসির অ্যান্ড কুরআনিক সাইন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া-এর ডিপার্টমেন্ট অব কুরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে সেখানেই পিএইচডি গবেষণা করছেন। স্বপ্ন দেখেন-ইনসাফ, আদল ও ইহসানের ভিত্তিতে এক উন্নত সমাজকাঠামোর। তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন বিশ্বাসের পরশে। বোধ ও সামর্থ্যরে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কুরআন ও সুন্নাহর কথামালা তুলে ধরার প্রয়াস নেন জনপদ থেকে জনপদে, কি-বোর্ডে কিংবা ক্যামেরার সামনে।
ম্যাসেজঃ আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া মিজানুর রহমান আজহারি বই রিভিউঃ
‘ম্যাসেজ’ বা বার্তা।
কিন্তু বইটা পড়ার পর যদি এর আরবি নাম খুঁজতে যান শুধু একটা শব্দই মাথায় আসবে- ‘নাসিহা’।
এ যেন এক স্বর্ণখচিত উপদেশমালা।
বইটা পড়া শুরু করার পর প্রথমদিকে বোঝাই যায় না কি বলতে চায় এই বই আমাকে?
কি ম্যাসেজ দিতে চায় এই লিখনি?
প্রথমেই সূরা ফাতিহার প্রজ্ঞাপূর্ণ তাফসির – নতুনভাবে সূরা ফাতিহার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে আপনাকে। হৃদয় সুশীতল করে দেবে.. এইতো! এইতো আমার সব সমস্যার সমাধান।
এরপর দু’আ সম্পর্কিত এক অধ্যায়। আপনাকে শিখিয়ে দেবে, সব সমস্যার সমাধান পেতে কিভাবে, কখন, কোন পথ অবলম্বন করতে হয়।
এরপর উমর রা. কে নিয়ে এক অনবদ্য রচনা। কি যেন হাহাকার… আহা আর একজন উমর চাই আমাদের। আর একটা বলিষ্ঠ হাত। যে হাতে বাইয়াত নিয়ে আমরা আবারো আমাদের অভিভাবকত্বের ভার দিয়ে শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করব।
এরপর পরই বইটা তার নামের সত্যিকারের সার্থকতা নিয়ে আপনার সামনে প্রকাশিত হবে।
এমন কিছু আলোচনা, যা আমাদের প্রত্যেকের জীবনের প্রতিচ্ছবি। আমরা প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এইসব সমস্যার সম্মুখীন হই। হয়ত যার দ্বারা এসব ক্ষতির সম্মুখীন হই তাকেও কখনো অভিযোগ করা হয়না। অথচ এসব এমন কষ্ট, যা ক্ষমাও করা যায়না।
কিন্তু মু’মিনের জীবনে কি কোনো কষ্টই কষ্ট? সূরা ইনশিরাহ তে মহান আল্লাহ বলেছেন, কষ্টের সাথেই তো রয়েছে স্বস্তি। এসব কষ্ট কি মনে পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেয়া উচিত? তাই এরপর এসেছে ক্ষমার আলোচনা। রাগ মনের মাঝে পুষে না রাখার আহবান। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
এরপর আত্মসংশোধনের পালা। ঠিক আমাদের দ্বারা কিভাবে অন্য মানুষ কষ্ট পেতে পারে, কিংবা আমরা এতক্ষন অন্যদের দেয়া কষ্ট নিয়ে ভাবলাম, কিন্তু আমাদের দ্বারা কি কেউ কষ্ট পেতে পারে? আমাদের জিহবা ও হাতের অনিষ্ট থেকে কি অন্য মানুষ নিরাপদ? নাকি আমাদের মাঝে আছে কোনো দ্বিচারিতা?
সব শেষে মৃত্যুর আলোচনা। মনকে ভীষণ দুঃখে আচ্ছন্ন করে ফেলবে এই অধ্যায়৷ জীবনের সব পাপকে যেন এক মূহুর্তে চোখের সামনে তুলে ধরবে। প্রচন্ড এক অনুশোচনাবোধ তৈরী হবে। মনে হবে আজ থেকেই বদলে যাই।
সমাজের প্রতিটা স্তরে যেভাবে নিজ নিজ স্বার্থই মূখ্য, অফিসে গেলে অফিস পলিটিক্স, পারিবারিক জীবনে হোমপলিটিক্স, ইত্যাদি ইত্যাদি কুচর্চার ভীড়ে এভাবে এত প্রজ্ঞা আর বিচক্ষণতা নিয়ে যেন এভাবে কেউ আগে কখনো বলেনি। কেউ যেন এতটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে এভাবে নিজেকে চিনিয়ে দেয় নি। আমরও ভুল হতে পারে এতটা দরদ দিয়ে কেউ যেন ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দেয়নি।
তাই, এবার তো নিজেকে বদলাবার পালা। নিজেকে সংশোধন করে ন্যায়পরায়ণতায় এক একজন উমর হয়ে উঠার পালা। অথবা এমন মানুষ যার থেকে পাওয়া কষ্টের কথা তাকে বোঝানো যায়না, তাকে এই বইটা গিফট করে সব মনের কথাগুলো বলে দেবার পালা ।
এটাই ম্যাসেজ!
নাসিহা।
স্বর্ণখচিত কথামালা।
বইটার অধ্যায় বিন্যাস হিউম্যান সাইকোলজির বিবেচনায় অসাধারণ। প্রতিটি কথা মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে৷
এককথায় মাস্টারপিস।
মাস্ট রিড একটা বই।
If you evaluate the book by looking at the cover of the book, then maybe many people will say that it is finished with only twelve messages.? I would say that if you want to understand these twelve messages, you have to dive into the dense flow of 296 pages of thousands of words. Every wave of this current will lift you up. I guarantee this.
You will get the first message at the beginning of the book from “Mother of Quran”. Extraordinary brief analysis of Surah Fatiha. The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said in this Surah: Turning his hand on his head will show the exchange of ideas between the servant and the Creator.
Do you know the important tool of a believer? Dua. The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: Allaah is very ashamed. When Bandha raises his hands in supplication, Allah is ashamed to return both his hands empty. In this message of the book, he has tried his best to give you this important tool of the believer.
Some people are sad from birth. He does not know the relief, trouble is his best friend! Again, in some cases, anger and fierce mood seems to be the main feature! Happiness is running away from him thinking that the book is for him. The book is for the angry togbag person who has a sweet voice filled with a glass of neem leaf syrup! Last but not least, the book is for all of you and me.
message mizanur rahman azhari
মিজানুর রহমান আজহারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
মিজানুর রহমান আজহারী ২০০৪ সালে দাখিল (SSC) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম (HSC) পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের টপ মেরিট লিস্টে জায়গা করে নেন।
২০০৭ সালে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিশর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় তিনি হাজার হাজার কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে বরাবরের মত ১ম স্থান অধিকার করে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিশরে গমন করেন। সেখান থেকে তিনি Department of Tafseer Quranic Science হতে ২০১২ সালে ৮০% সিজিপিএ নিয়ে অনার্স(Honours)উত্তীর্ণ হন।
মিশরে ৫ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর তিনি গার্ডেন অফ নলেজ খ্যাত মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্টগ্রাজুয়েশন ও এমফিল এবং পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৩ সালে তিনি মালয়েশিয়া গমন করেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের Department of Quran and Sunnah Studies থেকে তিনি ২০১৬ সালের মধ্যে পোস্টগ্রাজুয়েশন এবং এমফিল শেষ করেন। মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিল 3.82 out of 4. নিন্দুকদের জেনে রাখা উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তি করে পরীক্ষায় হায়ার সিজিপিএ অর্জন শুধুমাত্র নিশীথ প্রশ্ন ফাঁসের দেশ বাংলাদেশেই সম্ভব। এম ফিলে তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল “Human Embryology in the Holy Quran: A comparative Analysis between Tantawi Jawhari Zagloul Najjars interpretation. তারপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ক্যান্ডিডেট হিসেবে মনোনিত হন। “Human Behavioural Characteristics in the Holy Quran: An Analytical Study” বিষয়ের উপর তিনি বর্তমানে পিএইচডি গবেষণা করছেন। উল্লেখ্য তার এমফিল এবং পিএইচডির গবেষণার মাধ্যম ছিল ইংরেজি।
এছাড়া ও IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Ovarall 7.5 out of 9 ব্যান্ড স্কোর এবং স্পিকিং সেকশনে ও 7.5 ব্যান্ড স্কোর অর্জন করেন।
সবশেষে,নিন্দুকের নিন্দা থাকবেই..!! তবে,মিজানুর রহমান আজহারীরা প্রতিদিন জন্ম নেয়না।জ্ঞান-গবেষণার তারা একেকটি ধ্রুবতাঁরা এরা৷
পুরস্কার
২০০৬ সালে বাংলাদেশে স্কলারশিপ অফ ডিস্টিনেশন, দেশের শীর্ষ মেধা তালিকায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তি পেয়েছেন।
২০০৮-২০১২ পূর্ণ স্নাতক বৃত্তি, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর।
২০০৭ সালে ধর্ম মন্ত্রকের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে আল আজহার বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম পদ অর্জন করেন।
২০০৯ সালে সুইডেন-বাংলাদেশ ট্রাস্ট ফান্ড থেকে অনুদান। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়।











Assalamu Alaikum ei PDF ki pavo ????
ReplyDeleteKeu Online Upload dile ei post ei diye dibo inshallah
Deleteবই টা কি পাবো??
ReplyDelete